সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই : ফখরুল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৯ জন দেখেছে
মির্া ফকরুল


সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।


আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্ম মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে।
বিবৃতিতে বিএনপি’র এই নেতা নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ।

এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। মির্জা ফখরুল বলেন, ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না।

শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন।

তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।

একাত্তরের দেশ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com