দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শাহ্ এয়তেবারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে মাদ্রাসায় এলাকাবাসী, মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অপকর্ম বিষয়ে অভিযোগ মাদ্রাসার গভর্নিং বডির (এডহক) কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ আব্দুল করিম এর নিকট উপস্থাপন করেন। অভিযোগে তঁারা বলেন, অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিএম মোস্তাফিজুর রহমান একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি একাধিক নারীকে বিবাহ করেছেন। মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া ও মিথ্যা মিনিস্ট্রি অডিটের নাম করে শিক্ষক ও কর্মচারীর নিকট হতে এক মাসের বেতন আদায়, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শিক্ষার্থীদের নিকট হতে স্কাউট ফির নাম করে অর্থ আদায় করলেও স্কউট এর কোন প্রকার কার্যক্রম মাদ্রাসায় দেখা যায়নি। এছাড়াও গোপনে তিনি মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে তঁার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির সভাপতিকে এলাকার লোকজন, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউ চেনেন না বা কোন দিন দেখেননি। এলাকাবাসীর পক্ষ হতে সৈযদ রুহুল আমিন শাওন, মাদ্রাসার প্রভাষক সাইদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাজু ও মিতু এদিন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির নিকট এসব অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
এ বাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডি (এডহক) কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ আব্দুল করিম জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও মাদ্রাসায় বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিতির কারণে অধ্যক্ষ জিএম মোস্তাফিজুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তঁাকে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তঁার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিন অভিযোগ উপস্থাপন কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার জান্নাত আরা তিথি, জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, দুপচঁাচিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার শাহ মোঃ মাহমুদুন নবী, গভর্নিং বডির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন মুন্সী সেলিম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিএম মোস্তাফিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইন, তালোড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সৈয়দ আবু হাসান, প্রভাষক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্যঃ অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অপকর্ম বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা), দুপচঁাচিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও মহাপরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বরাবরে ইতি পূর্বে অভিযোগ করা হয়েছে।