পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার প্রধান রেল স্টেশনে ভয়াবহ বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
নিহত এবং আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস প্ল্যাটফরমে এসে পৌঁছালে যাত্রীরা ট্রেনটিতে ওঠার জন্য জড়ো হচ্ছিলেন, এ সময়েই ঘটে বিস্ফোরণ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় প্ল্যাটফরমে প্রচুর জনসমাগম ছিল।
বেলুচিস্তান পুলিশের কোয়েটা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসএসপি) মুহম্মদ বালোচ সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল বলছে যে এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল। নিকট ভবিষ্যতে নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বেলুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী বালোচ লিবারেশন আর্মি ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের পর অল্প সময়ের মধ্যে সঙ্গে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেন। হতাহতদের চিকিৎসার জন্য কোয়েটার বিভিন্ন হাসাপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন তারা।
বিস্ফোরিত বোমাটি বেশ শক্তিশালী ছিল। কারণ স্টেশনের যে স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানকার ছাদ উড়ে গেছে। এছাড়া কোয়েটার বহু এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি তাৎক্ষণিক এক বার্তায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “নিরীহ বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা অত্যন্ত কাপুরুষোচিত এবং নিন্দনীয় কাজ। এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের যত শিগগির সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে।”
ইতোমধ্যে বেলুচিস্তান পুলিশকে জরুরি ভিত্তিতে হামলার তদন্তের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।