এনামুল হক, মোংলা প্রতিনিধি জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী ‘এইচপিভি’ টিকাদান কার্যক্রমের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মোংলায়। সোমবার উপেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপেজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: মো: শাহিন সভাপতিত্ব করেন। এ সভায় জানানো হয়-আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ১৮দিন ব্যাপী (৫ম শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেনী ছাত্রী) স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এ টিকা প্রদান করা হবে। এ টিকাদান কর্মসূচির পতিপাদ্য একডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন।
সভায় উপেজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা: মো: শাহিন জানান, আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে ভবিষাৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। বৈশ্বিকভাবে সাধারনত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে ছয় লাখের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার মধ্যে প্রায় তিন লাখ মৃত্যবরন করেন। এর প্রায় ৯০ ভাগই মৃত্যুই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে। দেশের ৭টি বিভাগে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে একযোগে এইচপিভি টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ৬ হাজার ৮শ’ ৫৩ জন কিশোরী অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা গ্রহনের সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায় স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বোচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানি এ টিকা সরবরাহ করছে। প্রতিটি টিকার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। যা সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিনামূলে প্রদান করবে।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- মোংলা উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাইমেন ইবনে মোস্তাফিজ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আফসানা নাঈমা হাসান, উপেজলা মহিলা বিষায়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান, উপেজলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেবকুমার পাল, ইপিআই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সুব্রত মন্ডল ও
পুলিশ কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) প্রভাষ মল্লিক সহ স্বাস্থ্য কমীরা উপস্থিত ছিলেন।