আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর. অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত নাশকতা সৃষ্টি মামলায় পুলিশ আওয়ামীলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউ.পির পশ্চিম ছাতনী গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে সেলিম খান (৫৫) ও ঢেকরা গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৪২)। গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় আওয়ামীলীগের ছয়জন নেতাকর্মিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মি ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমুলক স্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্ঠি করে। এরপর হামলাকারিরা বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় গত ২৫ আগষ্ট রাতে আদমদীঘি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচঁাচিয়া) আসনের সাবেক এমপি সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বঁাধন, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার মা জেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজু আরা বেগম, আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবু রেজা খান, নাজিমুল হুদা, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় উল্লেখিত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদারতে পাঠানো হয় বলে অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান।