ইরানের কাছে ‘ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের’ একটি ‘ফাঁসির তালিকা’ রয়েছে – যার মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তসহ ইসরাইলের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর কমান্ডাররা। এক্সে (সাবেক টুইটার) ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনই একটি পোস্টার।
তবে ইসরায়েল এবং ইরান সরকার এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু না হলেও দখলদার ইসরায়েলের বড় নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে।
কয়েকদিন আগে একটি খবর বের হয় ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ছক কষছে দখলদার ইসরায়েল। মূলত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর ইসরায়েলি সরকারের একটি ধারণা তৈরি হয়েছে— তারা এখন ভালো অবস্থানে আছে এবং চাইলে ইরানের ধর্মীয় নেতাকেও হত্যা করতে পারবে। আর এমন খবর প্রকাশের পরই নেতানিয়াহুকে ইরানের ‘হিট লিস্টে’ রাখার তথ্য জানা গেলো।
এছাড়া ইরানের হিট লিস্টে আছে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টও। গত বছরের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালানোর পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে লাখ লাখ গাজাবাসীকে অনাহারে ফেলেন এবং তাদের ‘পশু’ হিসেবেও অভিহিত করেন।
হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারকে হত্যার জবাব দিতে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে একসঙ্গে প্রায় ২০০ মিসাইল ছোড়ে ইরান।
এই মিসাইল হামলার পর ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। দখলদার ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, ইরানের মিসাইল হামলার জবাবে তারাও যেকোনো সময় পাল্টা হামলা চালাবে।