সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ ।এই জেলায় প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ বছরে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় মোট ৫৬৩ মন্দির-মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্দির-মণ্ডপে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মাটির প্রলেপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এগুলো।
আগামী ৮ অক্টোবরে ঘট বসানোর মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে মহাষষ্ঠী শারদীয় দুর্গা উৎসব।
আর কিছু দিন পর রং-তুলির আঁচড় পড়বে এসব প্রতিমার শরীরে। গতকাল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বিমল চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৯৪টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৯১টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫৭টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২৫টি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১২৫টি, ফুলছড়ি উপজেলায় ১৩টি ও সাঘাটা উপজেলায় ৫৮টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে।
গাইবান্ধা ডেভিড কোংপাড়া ঐতিহ্যবাহী মাতৃ মন্দিরের মিন্টু সাহা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরে আমরা ব্যপক আয়োজন করা হয়েছে।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এ হচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। এখন হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারীরা ও ভক্তরা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করছেন মা দূর্গাকে।
গাইবান্ধা জেলা শাখার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বিমল চন্দ্র সরকার বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ৫৬৩ পূজা মণ্ডপের তথ্য পাওয়া গেছে। হয়তো এ সংখ্যা কম-বেশিও হতে পারে। আসন্ন দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন পিপিএম বলেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। আর যারা পূজার সময় নৈরাজ্য ও ঝামেলা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।