বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাগেরহাটে ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের ঘটনায় পুলিশের উপর হামলায় ওসি সহ আহত- ৩ বাগেরহাটে সাংবাদিকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি: স্বর্ণালংকার লুট সাদ পন্থীদের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত। সান্তাহারে দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত বিতরণ গাইবান্ধা নবাগত নারী পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ওষুধ ব্যবসায়ী শামীম হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ বাগেরহাটের রামপালে মুক্তিযোদ্ধা জলিল স্মরণে আমাদের গ্রাম’র ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বাগেরহাট থেকে আটক হলো জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি ফুলবাড়ীতে ১৯৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবারী আটক গাইবান্ধায় ১ হাজার দুস্থ মানুষ পেলেন শীতবস্ত্র

মদের দোকান বন্ধে ইউএনও’ র কাছে স্মারকলিপি প্রদান

মোঃ এনামুল হক, মোংলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৭
মদের দোকান বন্ধে ইউএনও' র কাছে স্মারকলিপি প্রদান
মদের দোকান বন্ধে ইউএনও' র কাছে স্মারকলিপি প্রদান

মোংলায় মাদ্রসা, মসজিদ, হেফজখানা, এতিমখানা ও সরকারী ভুমি অফিসের পাশে সরকার অনুমোদিত দেশী মদের দোকান থেকে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ। ওই মদ পানকারীদের মাতলামীতে নষ্ট হচ্ছে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ। হাতের কাছে সহজে কিনতে পারায় মদ পানে আসক্ত হচ্ছে শিশু কিশোরা।

শিক্ষা ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের পাশে দির্ঘদিন এভাবে মদ বিক্রি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির প্রতিনিধিরা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

চালনা বন্দর ফাজিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ খাঁন বলেন, পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকা মাদ্রাসা রোডে অবস্থিত চালনা বন্দর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, তিনতলা বিশিষ্ট চালনা বন্দর ফাজিল জামে মসজিদ, আলহাজ্ব আবদুল গফুর হেফজখানা ও এতিমখানা। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র ২০ ফুটের মাধ্যে ওই মদের দোকান। তার পাশেই রয়েছে সদর ভূমি অফিস। এখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে দেশীয় বাংলা মদ। এই মদ বিক্রির জন্য রয়েছে সরকারের অনুমোদন। তাই সাইনবোর্ড দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে রমরমা মদের কারবার। মদপানকারীদের মাতলামী চলে সড়কে। তাই সব সময় আতংকে থাকতে হয় মাদ্রাসা ও ফেফজখানায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের।

তিনি আরও বলেন, ১৯৫১ সালে গড়ে ওঠা এই ডিগ্রি মাদ্রসার পাশ্বে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে চলছে এমন মদ বিক্রির কারবার। প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতেক না পারা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্তরা অতিষ্ঠ হয়ে মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে মদের দোকানটি বন্ধের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেছি। স্মারকলিপিতে মদের দোকানটি বন্ধের জন্য স্থানীয় ৫০০ ব্যাক্তি সাক্ষর করেছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইউএনও আফিয়া শারমিন আইনগত সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপির কপি পাঠান।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com