ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারিভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি জায়গায় সমস্যা হয়েছিল।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেনীর ছাগলনাইয়ার রাধানগরের দক্ষিণ আন্ধারমানিক এলাকায় বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেছেন, সাময়িকভাবে কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ ছিলো। কিন্তু সেটিকে অতিরঞ্জিত করে বলা হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং এমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বা কোনো এলাকায় দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল, এমন প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে সেখানকার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ সত্যতা জেনে নেওয়ার অনুরোধ রইল।’
এর আগে রাঙামাটি শহরে সহিংসতার ঘটনায় আগুনে ইন্টারনেটের তার পুড়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হলেও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক ছিল।
নাহিদ বলেন, পাহাড়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেই সঙ্গে দেশকে অশান্ত করার বহুমুখী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে।
ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম সন্তোষজনক ভাবে হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চলমান আছে। আশা করছি সবাই ঘর পাবে, কেউ গৃহহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, ভারতের উজানের পানিতে এ বন্যা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি ভারত যা করেছে তা ঠিক হয়নি।
জেলার ফুলগাজীর জগতপুরেও বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।