মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে গুলি এসে পড়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। এতে কর্মরতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বন্দরের সব কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে স্থলবন্দরে পরেছে।
স্থলবন্দরের কার্যালয়ের জানালার গ্লাসে ও ট্রাকের সামনের গ্লাসে ২টি গুলিসহ আরও ১টি গুলি বন্দরের ভেতরে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বন্দরের অভ্যন্তরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। দুপুরের পর থেকে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে নাফনদীর মিয়ানমার সীমান্তের লাল দ্বীপ এলাকায় থেকে ৩টি গুলি এসে পড়লো টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যালয়ের জানালার গ্লাসে ও ট্রাকে সামনের গ্লাসে ২টি গুলি লাগে। এতে জানালার গ্লাস ও ট্রাকের সামনের গ্লাস কিছুটা ভেঙে যায়। সে সঙ্গে আরও ১টি গুলি বন্দরের ভেতরে পড়েছে।এ ঘটনায় বন্দরের কর্মরত কোন ব্যক্তির শরীরে গুলি লাগেনি। তবে কারা গুলি বর্ষণ করেছে সেটা স্পষ্ট নয় বলে তিনি জানায়।
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্তের নাফনদীর ওপারে লাল দ্বীপে দুই-তিন সপ্তাহে জুড়ে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন ( আরএসও) ও আরাকান আর্মি (এএ) মধ্যেই ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে মিয়ানমার সীমান্তের ওই দ্বীপে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ( আরসা) নামে আরও একটি সশস্ত্র সংগঠন সেখানে অবস্থা করছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে রাখাইনের মংডুর শহরে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিসহ তিনটি বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যেই সংঘাত চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থপনা পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে তিন রাউন্ড গুলি এসে পড়ে কার্যালয়ের জানালার গ্লাস ও একটি ট্রাকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কোন হতাহত হয়নি। এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষকে অবিহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে আতংক সৃষ্টি হওয়ায় দুপুরের পর থেকে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে একাধিকবার নাফনদীতে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছিল।