বাগেরহাটের রামপালে বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের কথা বলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালত। আলোচিত হাওলাদার সাইদুর রহমান সোনাতুনিয়া আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাগেরহাটের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মতিয়ার রহমান উভয় পক্ষের শুনানী শেষে সাইদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, বরখাস্তকৃত সাবেক প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান আমেনা খাতুন নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দ্বায়ীত্ব পালন কালিন সময়ে তিন জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জোরপূর্বক ১১ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের ফান্ডের আরো দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. অলিয়ার রহমান বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্যে বাগেরহাটের পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামী সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দেন। আদালত শুনানী শেষে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবি এ্যাডভোকেট মো. জালাল। এরপূর্বে এ নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর তাকে বরখাস্ত করে।