গাইবান্ধায় অতুল চন্দ্র বিশ্বাস (৩৫) নামে এক পৌর কর্মচারির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌরশহরের মুন্সিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অতুল গাইবান্ধা পৌরসভার চতুৃৃৃর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল। তিনি শহরের কলেজপাড়ার অরুন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তার প্রথম স্ত্রীর দুইটি ফুটফুটে ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। একজন আরোহী বিশ্বাস (৮) আরেকজন রিথান বিশ্বাস(৪)।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, অতুল দুটি বিবাহ করেন। পারিবারিক কলহের জেরে নিজ বাড়ি কলেজ পাড়া থেকে পশ্চিম পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রথম স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।
অপরদিকে, মুন্সীপাড়া শহীদ মিনারের দক্ষিণ পাশে জনৈক জনি মিয়ার বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী সুচরিতাকে( ৩২)কে নিয়ে ভাড়া থাকতেন শ্রী অতুল চন্দ্র বিশ্বাস। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলোহ চলছিল। সকালে মাকে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার কথা বলে অফিসের দিকে বেরিয়ে যান অতুল। এরপর দুপুরে ২য় স্ত্রী সুচরিতার বাসায় ফেরেন তিনি। পরে স্ত্রীর অজান্তে রান্না ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় রশি প্যাচিয়ে আত্ম হত্যা করেন অতুল। পরে স্থানীয়দের ফোনে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেন।এরপর সদর থানায় নিহতের স্বজনরা ভিড় জমিয়ে বিচারের দাবী জানান। বর্তমানে সুচরিতা জিঞ্জাসাবাদের জন্য সদর থানা পুলিশ হেফাজতে রেখেছে।
এ ঘটনায় বাবা অরুন চন্দ্র বিশ্বাস এর অভিযোগ এটি হত্যাকান্ড এই মেয়ে হত্যা করে ঝুলে রেখেছে।এই মেয়ের ফাঁসি চাই।
অপর দিকে, নিহতের প্রথম স্ত্রী পিংকি বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন,এই মেয়ের চরিত্রের সমস্যা। খারাপ ছবি দিয়ে আমার স্বামীকে ব্লাকমেইল করতো। অনেক টাকা পয়সাও নিয়েছে। তার সাথে আমার স্বামীর বিবাহ হয়নি। এই মেয়েই কয়েকজনের সহযোগিতায় আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
তবে বাড়ির মালিক জনি মিয়া বলেন, অতুল চন্দ্র বিশ্বাস দুই বছর হতে বাসা ভাড়া নিসে নিয়মিত বাড়িতে যাতয়াত করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) সুদীপ্ত শাহীন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।