বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকাল অনেক সাংবাদিক, সবার কথা বলি না, তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন। কথাটা ভালো না হলেও বলতে হলো। বাড়িঘর, প্লট সব জোগাড় করে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রয়াত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর কথা মনে হলে আমার ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট হয়। আমি তার কাছে অত্যন্ত ঋণী। সবসময় তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমার ভুলটা দেখিয়ে দিতেন, আমাকে সামনে পথ দেখাতেন। এই জিনিসগুলো পাওয়ার আর আমার লোক নেই। মাহফুজ উল্লাহকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ মিস করি। তাকে হারানোটা আমাদের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, মাহফুজ উল্লাহ আমার খুব কাছের মানুষ ছিল। যতদিন বেঁচে ছিলেন আমার সব কাজের সহযোগিতা-সাহায্য করত। আমি খুব খুশি হয়েছি মাহফুজ উল্লাহ অন্তত মরণোত্তর সংবর্ধনাটা পেল। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন গুণী, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ছিলেন। মাহফুজ উল্লাহ তার বড় ভাইয়ের মতই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই সময় তারা বোর্ডের স্ট্যান্ড করেছিল।
তিনি বলেন, পড়াশোনা করতে এসে পারিবারিক রাজনীতির কারণে তারা বাম রাজনীতির দিকে ঢুকে পড়েন। মাহফুজ উল্লাহর মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজ একটা পরিবর্তন নিয়ে আসা। মানুষের যে পাওনা, সেটাকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা চেয়েছিলেন তারা। মাহফুজ উল্লাহ রাজনৈতিক দল করত না। তবে তার যে রাজনৈতিক চিন্তা, সেটি নিয়ে তিনি এগিয়ে যেতেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ও ১৮ নির্বাচনের আগে এই সময়ে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তখন সমস্ত দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য একটা অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। সেই প্রচেষ্টা ছিল বলেই বাম-ডান মিলে একটা জায়গায় আসার সম্ভব ছিল। তিনি একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। এবং সেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা সবাই, আশাবাদী ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। ফ্যাসিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে। আজকে আমরা একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছি। আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। এজন্য সবাইকে অনেক বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করার জন্য আমরা সবাই যেন কাজ করতে পারি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। সে ক্ষেত্রে আমরা যেন আগের অবদানের কথা ভুলে না যাই। কারণ এদের কাজের ওপরই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।