এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি|| বাগেরহাটের চিতলমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঞ্জুরুল বণাম পান্না বিশ্বাষ দুইপক্ষের সংঘর্ষ ওসির সাহসী নেতৃত্বে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেছে। রবিবার (১২ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলার কলতলা ইউনিয়নের চিংগুড়ী এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুইপক্ষের বৃষ্টির মত ইট নিক্ষেপের ফলে চিতলমারী-পাটগাতী আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও এলাকাবাসি আহতদের উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চিংগুড়ী এলাকার মঞ্জুরুল শেখ ও পান্না বিশ্বাসের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল পোনে ১১ টায় মঞ্জুরুল শেখের ৫০-৬০ জন লোক ও পান্না বিশ্বাসের ৫০-৬০ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুইপক্ষের ছোড়া ইট বৃষ্টিতে চিতলমারী-পাটগাতী আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন সংর্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসি আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
সংঘর্ষে আহত পান্না বিশ্বাসের চাচাতো ভাই আফতাব বিশ্বাস বলেন, ‘দলীয় কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পান্নার সাথে মঞ্জুরুল শেখের বিরোধ চলে আসছিল। এরজেরে রবিবার সকালে মঞ্জুরুল শেখের লোকজন পান্নাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রেখে চরম মারপিট করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আমাদের লোকজন ও মঞ্জুরুল শেখের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আমাদের পক্ষের পান্না বিশ্বাস (৫৫), আকবর শেখ (৪০), আজগর বিশ্বাস কালা (৪২), মফিজ ফকির (৩৫), ফায়েক বিশ্বাস (৫৫) ও রেজোয়ান বিশ্বাস (২২) গুরুতর আহত হয়। তাদের টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
মঞ্জুরুল শেখ বলেন, ‘পান্না বিশ্বাস একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মাদক নিয়ে রবিবার সকালে আমাদের বংশের জাহিদ শেখকে পান্না বিশ্বাস ঘুষি মারে। এ নিয়ে এলাকায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আমাদের পক্ষের আলামিন শেখ (৪৪), নাঈম শেখ (৩৫), রাজীব শেখ (২৮) ও জিয়া শেখ (৫০) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। দুইপক্ষ বৃষ্টির মত ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করেছে। এলাকা এখন শান্ত আছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।