এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি|| বাগেরহাটের কচুয়ায়
গণপিটুনিতে রাসেল শেখ (৩৮) নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকায় মহিদ পাইকের বাড়ীতে চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয়রা সন্ত্রাসী রাসেল ও তার সহযোগী রাজিবকে গনপিটুনি দেয়। স্থানীয়রা সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রাসেলের মৃত ঘোষনা করেন। নিহত সন্ত্রাসী রাসেলের নামে কচুয়া থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩টি মামলা রয়েছে।
নিহত সন্ত্রাসী চন্দ্রপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে। আহত রাজিব একই এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। গুরুতর আহত রাজিবকে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ত্রাসী রাসেল শেখ রাসেল ও তার সহযোগীরা উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকার মহিদ পাইকের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করত। সপ্তাহখানেক আগে ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ৫ জানুয়ারি শনিবার মহিদ পাইককে আরও টাকা জোগার করে রাখার জন্য শাসিয়ে যায়। যদি টাকা না রাখা হয়, ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। রবিবার বিকেলের দিকে সন্ত্রাসী রাসেলসহ তার সহযোগিরা ধারালো দা-কুড়াল নিয়ে মহিদের বাড়িতে ঢোকে এবং টাকা দাবি করে। এসময় বাড়ির নারীরা ডাক চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এসে তাদের ধরে গনপিটুনি দেয়।
অন্য কয়েকজন পালিয়ে গেলেও, রাসেল ও রাজিব গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় কচুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রাসেলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহত অন্য সন্ত্রাসী রাজিবকে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গনপিটুনিতে নিহত সন্ত্রাসী রাসেলের নামে কচুায়া থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৩টি মামলা রয়েছে। এঘটনায় আরো সাত জন আহত হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মনি শঙ্কর পাইক বলেন, রাসেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের মাথা, পিঠ, পাসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।