মাহমুদুল হাবিব রিপন গাইবান্ধা প্রতিনিধি: তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনের বেলাতেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিরমত ঘন কুয়াশা পড়ছে। ঝিরঝিরি বাতাস ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত দু’দিন থেকে বৃহস্পতিবার সারাদিন পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্যান্য নদ-নদীতে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
সড়ক ও রেলপথে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে মোটর সাইকেল, অটোবাইক, ট্রেন ও অন্য যানবাহনকে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে তীব্র ঠাণ্ডায় জমিতে কাজ করতে পারছেন না জেলার কৃষকরা। অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্ষেতের সরিষা ও বোরো ধানের বীজতলা। হলুদ রং ধারণ করছে ধানের চারা এবং সরিষার ফুলের গাছগুলো রোগাকান্ত হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ানসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া গরম কাপড়ের অভাবে শীত নিবারণে কষ্ট পাচ্ছেন জেলার ছিন্নমূল মানুষ। ফলে শহরের গাউন মার্কেটগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতের কাপড় কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান জানান, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৭০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বিতরণ করা হবে।