এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি|| বাগেরহাটে ধর্মীয় লেবাসে নানা প্রলোভনে সাধারন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া আলোচিত সেই নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট কোং এর কাছে জমাকৃত টাকা ফেরতের দাবীতে মানব বন্ধন করেছেন ভুক্তভোগি সাধারন গ্রাহকরা।
বুধবার বেলা ১১ টায় বাগেরহাট দশানী এলজিইডি মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোঃ আল-আমিনের সভাপতিত্বে ও কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা বেলায়েত হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগিরা বলেন, বাগেরহাট জেলা শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকার আব্দুল মান্নান তালুকদার নিউ বসুন্ধরা লিঃ নামে একটি অর্থ-লগ্নি প্রতিষ্ঠান খুলে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পরিচালনার কথা বলে কুরআন হাদিসের দোহাই দিয়ে খুলনা, বাগেরহাট ও পিরোজপুরের কতিপয় আলেম ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে রেখে লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ মুনাফা দেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিভিন্ন শাখা অফিসের মাধ্যমে ২৮ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর তাদের প্রতারনা ধরা পড়ায় গত ২০১৯ সালে আলোচিত ওই কোম্পানীর সকল অফিস বন্ধ করে দেয়। আমরা সাধারন গ্রাহকরা কোম্পানী কর্মকতা কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নানাভাবে সময় ক্ষেপন করে। বরং সাধারন গ্রাহকদের অর্থায়নের ক্রয় করা জমি গোঁপনে গোঁপনে বিক্রি করে কোম্পানীর লোকেরা ব্যাক্তি আখের গোচাচ্ছে বলে জানতে পারি। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করছি সরকারীভাবে ওই কোম্পানীতে রিসিভার নিয়োগ করে আমাদের পাওনা পরিশোধ করার উদ্যোগ নিবেন।
পাওনাদার কমিটির খুলনা শাখার সদস্য মাওলানা মফিজুল ইসলাম প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং তৎকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের অর্থলোভি নেতাদের ম্যানেজ করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সাবেক কর্মচারী আব্দুল মান্নান তালুকদার এ অঞ্চলের ২৮ হাজার মানুষ কে তাদের পরিবারসহ নিঃস্ব করে ফেলেছে।
অনেকে পাওনা টাকা না পেয়ে অনেকে আত্মহত্যা করেছে। তাই আমরা বর্তমান প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন মোঃ আবু সাঈদ, মাষ্টার রুহুল আমীন, জি.এম মহিউদ্দিন, মিজানুর রহমান গাজী, আলী আকবর, আবুল কাশেম. মোঃ জাহাঙ্গীর, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। প্রসঙ্গতঃ বাগেরহাট জেলা কালেক্টরেটের কর্মচারী আব্দুল মান্নান তালুকদার ২০১০ সালে চাকরী থেকে অবসরে গিয়ে সমবায় ব্যাংকের রেজিঃ নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামে একটি অর্থ-লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। পতিত শেখ হাসিনা সরকারের বাগেরহাটের অর্থলোভি কতিপয় প্রভাবশালী নেতাদের ও প্রশাসন কে ম্যানেজ করে অতিরিক্ত লাভের প্রলোভন দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ লগ্নি নেয়। সুচতুর উমেদার মান্নান তার এই প্রতারনা যাতে ফাঁস না হয় এ জন্য বাগেরহাটে কতিপয় অনৈতিক অর্থলোভি সংবাদ কর্মীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে প্রতারনা ব্যবসা করে।
যা পরে ধরা পড়ে এবং আব্দুল মান্নানসহ তার কয়েকজন সহযোগির বিরুদ্ধে মামলা হয়। যে মামলায় প্রতারক আব্দুল মান্নান তালুকদার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান।