মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গাইবান্ধার কামারজানিতে বালু মহাল ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে তন্ত্র-মন্ত্রের খেলা ‘পাতা খেলা’ অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আগৈলঝাড়ায় স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্ত্রীর মৃত্যু। জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় দুপচাঁচিয়া উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সাহিত্য প্রেমী ও দক্ষ সংগঠক সিরাজুল হক মন্টুর গল্প নন্দীগ্রামে চালককে মারপিট করে ইজিবাইক ছিনতাই সান্তাহার প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা প্রদান বাগেরহাটে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

হিজাব সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন স্থগিত করল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
হিজাব সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন স্থগিত করল ইরান
হিজাব সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন স্থগিত করল ইরান

ইরানের হিজাব বিষয়ক বিতর্কিত একটি আইন স্থগিত করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। এর ফলে আইনটি কার্যকরের দিনক্ষণ পিছিয়ে গেল। কালন শুক্রবার থেকেই আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আইনটিকে ‘অস্পষ্ট এবং সংস্কারের প্রয়োজন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এর মাধ্যমে আইনটি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে নারী ও মেয়েদের চুল, হাতের বাহু ও পায়ের নিচের অংশ প্রদর্শনের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। দেশটির অধিকার কর্মীরা এর তীব্র সমালোচনা করছিলেন।

নারীদের জন্য কঠোর পোশাক আইন কয়েক দশক ধরে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একে কেন্দ্র করে অতীতে অনেক বিক্ষোভের জন্ম হয়েছিল।

এই আইনে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে এবং কেউ যদি নিয়ম কানুনকে উপহাস করে তাহলে তাকে বড় জরিমানা এবং পনেরো বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আইন নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা বলে আসছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘দমন পীড়নের দম বন্ধ করা প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করতে চাইছে’।

জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তখনকার প্রার্থী পেজেশকিয়ান প্রকাশ্যেই হিজাব ইস্যুতে ইরানের নারীদের সাথে যে ধরনের আচরণ করা হয় তার সমালোচনা করেছিলেন। তিনি কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। বহু ইরানি নাগরিকের প্রত্যাশাও তাই। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যারা সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে হতাশ।

গত দু বছর ধরে অনেক ইরানি তরুণ নারী প্রকাশ্যেই সরকারের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। গত সপ্তাহেও তিনশ ইরানি অধিকারকর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক প্রকাশ্যে নতুন হিজাব আইনের প্রতিবাদ করেছেন।
তারা এটিকে ‘অবৈধ ও অপ্রয়োগযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্টের প্রতি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কট্টরপন্থি অংশের চাপ সত্ত্বেও ইরানের অনেক তরুণ সরকারের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ভীতিহীনভাবে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।

আর আইনটি কার্যকর করা স্থগিত করার মানে হলো, দুই বছর আগের মতো আরেকটি বিক্ষোভের সূচনা হতে পারে বলে সরকারের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। বিবিসি বাংলা

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com