আকস্মিক সামরিক আইন জারি ঘিরে সৃষ্ট অচলাবস্থার মাঝে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এদিন দেশটির আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ভোট শেষে বিরোধীরা ‘জনগণের বিজয়’ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
৩০০ সাংসদের মধ্যে ২০৪ জনই প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে এবং ৮৫ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনজন অবশ্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। আর বাতিল হয়েছে আটটি ভোট।
ভোট শুরুর আগে কয়েক হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী সমাবেশে রাজধানী সিউলের রাস্তায় নেমেছিল।
অভিশংসনের সঙ্গে সঙ্গে ইউনকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এখন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু।
ইউনের ভবিষ্যত নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে এখন আরও ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় রয়েছে।
অভিশংসন পাসের জন্য দুই শতাধিক ভোটের প্রয়োজন ছিল। আর জন্য বিরোধী আইনপ্রণেতাদের ইউনের রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অন্তত আটজন সংসদ সদস্যকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করানো দরকার ছিল।
এর আগে, সিউলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছিলে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসন সমর্থন করে এমন অন্তত ২ লাখ মানুষ সংসদের বাইরে জমায়েত হয়েছিল।
সিউলের অন্য দিকে গওয়াংওয়ামুন স্কয়ারের কাছে পুলিশের অনুমান মতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ইউনের পক্ষে সমাবেশ করেছিল। এ সময় তারা দেশাত্মবোধক গান বাজায় এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকান পতাকা নেড়েছিল।
ভোটের আগে ৬২ বছর বয়সী সমর্থক চোই হি-সান এএফপিকে বলেন, ‘সামরিক আইন জারি করা ছাড়া ইউনের আর কোনও বিকল্প ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি তার প্রতি সম্মতি জানাই।’