সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাখা হয় বেলা ১২টা পর্যন্ত। সেখানেই শিল্পীকে বিদায় জানান সর্বস্তরের জনতা।
এর আগে ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনেও এ শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী গতকাল (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে মারা যান। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার।
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়। তার দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।