বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তদন্ত সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর তাকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে গণহত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি জানতেন এবং এসব বাস্তবায়ন করতে সরাসরি তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক নয় মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সেদিন প্রথমবারের মতো ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছিলেন পলক। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পলকসহ সেই সাবেক নয় মন্ত্রীকে আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। পরদিন ১৮ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। টানা পাঁচ দিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল।
গত ২৪ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারেনেট এবং ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ৩১ জুলাই ফের চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন।
পরে আবার ৫ অগাস্ট কয়েক ঘণ্টার জন্য মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করলে দুপুর ২টার পর ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু হয়।