ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া এই হুমকির পর স্কুলগুলোতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে দিল্লির ৪০টিরও বেশি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দিল্লির যে ৪৪টি স্কুলে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিম বিহারের ডিপিএস আর কে পুরম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুলও রয়েছে। হুমকি পাওয়ার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, হুমকিটি ইমেইলের মাধ্যমে পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এনডিটিভির হাতে পাওয়া ওই ইমেইলের একটি অনুলিপি অনুসারে, রোববার রাতে ১১ টা ৩৮ মিনিটে ওই ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল। ইমেইলে দাবি করা হয়েছে, ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা রাখা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, “বোমাগুলো ছোট এবং খুব ভালোভাবে লুকানো আছে।”
ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেছেন। ইমেইলে তিনি লিখেছেন, “এটি ভবনের খুব বেশি ক্ষতি করবে না, তবে বোমা বিস্ফোরণে অনেক লোক আহত হবে। আপনারা সকলেই কষ্ট পাবেন এবং অঙ্গ হারাবেন।”
এদিকে ইমেইলটি যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লি পুলিশ তা তদন্ত করছে এবং ইমেইল প্রেরককেও খুঁজছে।
এনডিটিভি বলছে, সপ্তাহে স্কুল শুরুর প্রথম দিন সকালে কোলাহলের — স্কুল বাস আসছে, বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের নামিয়ে দিচ্ছেন এবং সকালের সমাবেশের জন্য কর্মীদের প্রস্তুতির — মধ্যেই বোমা হামলার হুমকি ও সতর্কতার কথা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সকাল সোয়া ৬টায় জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে প্রথম এ বিষয়ে একটি ফোনকল পায় এবং তারপরে ডিপিএস আরকে পুরম থেকেও ৭টার পর আরেকটি ফোনকল আসে।
ডগ স্কোয়াড, বোমা শনাক্তকারী দল এবং স্থানীয় পুলিশসহ দমকল কর্মীরা স্কুলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর আগে, গত অক্টোবরে দিল্লির রোহিণীর প্রশান্ত বিহারে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) স্কুলের বাইরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে বিদ্যালয়ের দেয়াল এবং আশপাশের দোকানপাট ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।