ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে এটি ছিনতাইকারীদের কাজ করে ধারণা করছে পুলিশ। কারণ গাড়ি থেকে মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন অভিযোগ করেছেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকা থেকে বান্দরবানের লামা যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জে হামলার শিকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়িবহর। সেখানে তাদের ব্যাগ এবং মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেকেই হামলায় আহত। বাংলাদেশ সরকারের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদও তার ফেসবুক পোস্টে গাড়িবহরে হামলার কথা জানিয়েছেন।
রাত সোয়া দুইটার দিকে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই জীবন বাজি রেখে চলি। যারা নারায়নগঞ্জে আমার ভাই-বোনদের উপর হামলা করেছে, তাদের ক্ষমা নাই।’
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, রাত ২টার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানিয়েছেন। একটি গাড়ি ছিল। গাড়িতে তারা ৮ জন ছিলেন। এমনভাবে আহত কেউ নেই তবে গাড়ির গ্লাস ভাঙা ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি ছিনতাইকারীদের কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে জানা যাবে এটি আসলে হামলা নাকি ছিনতাই। তারা জানিয়েছেন, তাদের মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে গেছে। পরে তাদের অর্ধেক অন্য গাড়ি করে ঢাকা এবং অর্ধেক মানুষ বান্দরবানের উদ্দেশ্যে চলে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইমাম জানান, রাতে মোগড়াপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে জেনেছি।
এর আগে দুইবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় হাসনাত ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে ট্রাক ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে যাত্রাবাড়ী ব্রিজের দিকে একটি ট্রাক আবারও হাসনাত আবদুল্লাহকে বহন করা গাড়িতে ধাক্কা দেয়।
দুটি ঘটনাকেই হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দেওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।