এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি||বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন-২৪ উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাগেরহাট'র আয়োজনে জেলা পর্যায়ে ৫ জন ও সদর উপজেলা পর্যায়ে ৫ জন নারীকে ‘জয়িতা’ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বেগম রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষে বাগেরহাট জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ১০ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫টি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত জয়িতাদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাস। বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাগেরহাট জেলা কর্মকর্তা সাহেলা পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রিয়াদুজ্জামান সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধিসহ জয়িতা অর্জনকারী ও এদের পরিবারের সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার জয়িতা হলেন অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী রেশমা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী নিভা রানী সরকার , সফল জননী নারী নিরুপমা মজুমদার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী মিস মেরোনা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী মোসাঃ রেক্সনা বেগম। একইভাবে জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন কারী নারী রেশমা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী শারমিন আক্তার সোনিয়া, সফল জননী নারী মোসাঃ রাবেয়া খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী মিস মেরোনা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী শাহিদা আক্তার।
সংবর্ধনা পেয়ে "জয়ীতা" নারীরা বলেন শত বাঁধা পেড়িয়ে আজকের এই অবস্থানে এই সংবর্ধনা হোক প্রতিটি নারীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, বেগম রোকেয়া অবরোধ প্রথা, অন্যদিকে অশিক্ষার অভিশাপ-এমনি এক সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেন। নিজের আগ্রহে ও উদ্যেগে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং বুঝেছিলেন প্রকৃত শিক্ষার মধ্য দিয়ে নারী তার অপন শক্তি খুঁজে পাবে। আজীবন নারী শিক্ষা এবং অবরোধ প্রথার বিরুদ্ধে এবং নারী পুরুষের সমান অধিকারের পক্ষে লড়াই করেছেন তিনি। জীবনের সকল সম্পদ-সম্পত্তি ও মেধা দিয়ে নারী জাগরনের জন্য লড়াই করেছেন। অন্যান্য বক্তারা সভা থেকে বেগম রোকেয়ার সংগ্রামী চেতনাকে ধারন করে নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানান।