আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দুদক ও বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হয়েছিল।
আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসের আলোচনায় অংশ নেন আসিফ নজরুল।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিভিন্ন দুর্নীতির ফিরিস্তিও তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আসিফ নজরুল বলেন, একজন বেহায়া প্রধানমন্ত্রী বলতেন, ৪০০ কোটি টাকার মালিক তার পিয়ন। তার বোন চোর, অথচ সেই প্রধানমন্ত্রীই বলে বেড়াতেন খালেদা জিয়ার কথা।
তিনি আরো বলেন, দুদক তো ছিল, উচ্চ আদালতও ছিল... কোনো বিচার হয়েছে? বিচার কার হতো... বেগম খালেদা জিয়ার। তিন কোটি টাকা একটা জায়গায় রেখেছে... প্রক্রিয়াগত ভুলের জন্য... একটা টাকা সেখান থেকে কেউ আত্মসাৎ করে নাই... আত্মসাৎ করা মানে ভোগ করা। কেউ তা করেছিল? তিন কোটি টাকা ব্যাংকে ছিল ৬ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা কেউ স্পর্শ করে নাই, সেই জন্য এই দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জেল দিয়ে দিয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই দেশের দুদক আর বিচার বিভাগ মিলে। আর সেই চোর প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যার পুরো পরিবার ছিল চোর। সে সারা দেশে বলে বেড়াতো এতিমের টাকা নাকি বেগম খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেছে। এই চোরের মুখের সামনে কেউ কোনো কথা বলতে পারতো না। দুদক তার দাসে পরিণত হয়েছিল, বিচার বিভাগ তার দাসে পরিণত হয়েছিল।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৯৫৭ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো হয়েছে। আর ২০০৪ সালে হয়েছে দুদক। তবে দুদক ও বিচার বিভাগ আগের শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল। কর্মকর্তারা ভালো পরিবেশ পেলে কাজ করতে পারেন সেটা এখন দেখান।
রাজনৈতিক চাপ থাকা সত্যেও অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক লোককে দোষ দিয়ে নিজের অন্যায় ঢাকার চেষ্টা করা থেকে বিরতি থাকতে হবে। তরুণদের কাছ থেকে শিখে ভালো কাজ করতে হবে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার দুদক কমিশন গঠন করবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।