ফিলিপাইনে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (টাইফুন) মান-ই’র আঘাতে এ পর্যন্ত ৮ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। নিকট ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ-প্রদেশ কাতানদুয়ানস এবং মধ্যাঞ্চলীয় দ্বীপ-প্রদেশ ল্যুজোনে আঘাত হানে টাইফুন মান-ই, যেটি স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পেয়েছে ‘পেপিটো’ নামে। উপকূলের স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার পর সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছেছিল ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঝড়ের আঘাতে এ দুই দ্বীপের গ্রাম-শহরগুলোতে গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, কাঠের তৈরি ঘরবাড়িগুলো ভেঙে গেছে, কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় কাতানদুয়ানস এবং ল্যুজোনে লাখ লাখ বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপড়ে পড়া গাছ, ডালপালা ও আবর্জনার স্তূপের কারণে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক সড়ক।
সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা এখনও তৎপরতা পুরোপুরি শুরু করতে পারছেন না, কারণ ঝড় দুর্বল হলেও এখনও শেষ হয়নি। বর্তমানে ল্যুজনে অবস্থান করছে মান-ই; আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার রাতের মধ্যে ঝড়টি ভিয়েতনামে প্রবেশ করবে।
শনিবার হানার আগে এক পূর্বাভাসে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর মান-ই’কে ‘সুপার টাইফুন’ উল্লেখ করে এক সতর্কবার্তায় বলেছিল যে এই ঝড়টি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের এ সতর্কবার্তার কাতানদুয়ানস এবং ল্যুজোনের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে গিয়েছিলেন।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জেআর জানিয়েছেন, যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তত বিধ্বংসী হয়নি মান-ই।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “যদিও পেপিটো বেশ শক্তিশালী একটি ঝড় ছিল, কিন্তু এটি যতটা বিধ্বংসী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তত ভয়ঙ্কর তা ছিল না।”
“ঝড়ের তেজ কমে আসছে— এটাও আশাব্যাঞ্জক। আমরা শিগগিরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করছি। সবার আগে কাতানদুয়পানস এবং ল্যুজোনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে তৎপরতা শুরু হবে।”