অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সারাদেশে ফ্যাসিবাদ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে সত্য প্রকাশ করার মাধ্যমে সব আন্দোলনেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ডুজাসহ সকল সাংবাদিকদের।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সমিতির নতুন সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, “সারাদেশে ফ্যাসিবাদ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ছিল। রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে সত্য প্রকাশ করার মাধ্যমে সব আন্দোলনেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ডুজাসহ সকল সাংবাদিকদের। আর জুলাই অভ্যুত্থানে তারা সেই দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করেছে বলেই আন্দোলন সফলতা পেয়েছে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) আন্দোলনকারীদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
এ সময় তিনি আন্দোলনকারী-অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ সকল ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিটি সদস্য একই সাথে সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আন্দোলন চলাকালে যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের মাধ্যমে আমরা অনেক তথ্য জানতে পেরেছি এবং জানিয়েছি।”
“শিক্ষার্থীদের প্রতিটি আন্দোলনেই ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সেতুবন্ধন থাকে। আন্দোলনকালীন সময়ে সাংবাদিকতার বাইরে গিয়েও তারা আহত শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে মানবাবিক কাজে অংশ নিয়েছে।”