গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন, সরকারী খরচে ও সহজে আইনী সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে গাইবান্ধা ফুলছড়ির প্রশিকা কেন্দ্র মিলনায়তনে আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বিনা খরচে নিন আইনী সহায়তা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা”। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা জেলা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ কুদরাত-ই-খোদা। সভায় প্রশিকা গাইবান্ধা সদর উন্নয়ন এলাকার প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিল। প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র বাংলাদেশের সমগ্র জেলায় প্রশিকার বিভিন্ন শাখা অফিসের মাধ্যমে এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আনন্দ মোহনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মোছাঃ মাসুমা খানম যুথি, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান ছামাদ, ঢাকা প্রশিকা আইনী সহায়তা কর্মসূচির পরিচালক অ্যাড. মোঃ আনিছুর রহমান কাজল, সমন্বয়ক শাহানাজ পারভীন, ঢাকা প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক সুরেশ চন্দ্র, জেসমিন আকতার, এ.কে.এম ফারুক, সাইফুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, মোশারফ মিয়া, সুজন মিয়া,ফজলুল করিম, নয়ন চন্দ্র প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক মোঃ রিপন খান।
কর্মসূচির বিষয়ে অধিকাংশ জনগণ বলেন, বিষয়টি তারা আগে অবগত ছিলেন না, বিষয়টি এখন জেনেছে এবং অন্যদেরকেও জানাবে। অনেক অস্বচ্ছল লোক আছে যারা টাকার অভাবে তাদের আইনগত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যেহেতু সরকার এই সুবিধাটা দিচ্ছে তাই তারা এই সুবিধাটা গ্রহণ করবে। এই ধরণের কর্মসূচি হাতে নেয়ার জন্য তারা প্রশিকা ও সরকারের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ১৯৭৬ সাল থেকে দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি অনেকগুলো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য আইনগত সহায়তা প্রদান, নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠন, স্মার্ট হেলথ কেয়ার, সামাজিক বনায়ন, প্রশিকা বিদ্যা নিকেতন, টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং, সুয়িং মেশিন অপারেশন, মোবাইল সার্ভিসিং, আইটি প্রশিক্ষণ, বিহেভিয়ার চেঞ্জ, মৌ চাষ ইত্যাদি।