জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট একথা জানান।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিউইয়র্কের রিপাবলিকান পার্টির এই নারী কংগ্রেস সদস্য জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “আমার মন্ত্রিসভায় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য চেয়ারম্যান এলিস স্টেফানিককে মনোনীত করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এলিস অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, কঠোর এবং স্মার্ট আমেরিকান সম্মুখসারির যোদ্ধা।”
নিউইয়র্কের প্রতিনিধি এবং হাউস অব কনফারেন্স-এর চেয়ার স্টেফানিক হচ্ছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রার্থী নিকি হ্যালি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তার প্রশাসনের যোগ দিতে বলা হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
হ্যালি তার আগের মেয়াদে ট্রাম্পের অধীনে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং দলীয় প্রাইমারিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় কঠোর সমালোচনা করলেও পরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পদে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের আগে ট্রাম্প তার প্রশাসনে কাজ করার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করছেন। গত শুক্রবার রয়টার্স জানিয়েছিল, ট্রাম্প বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী স্কট বেসেন্টের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী পদের জন্য তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কট্টর অভিবাসীবিরোধী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত টম হোমানকে তার পরবর্তী প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব দিচ্ছেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেন, “আইসিইর সাবেক পরিচালক ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের অদম্য ব্যক্তি টম হোমান আমাদের জাতীয় সীমান্তের দায়িত্ব নিতে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দিচ্ছেন এবং এটা আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।”
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে টম হোমানকে চিনি। আমাদের সীমান্তে পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে তার চেয়ে ভালো আর কেউ নেই।”