গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুর হাবিব রিপন, গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দাম পাবে কৃষকরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে কৃষি উপকরণ ও পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের পাশে থাকছে কৃষি বিভাগ।
এরইমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেট, লাল শাক,পালন শাকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন আগাম সবজি
চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষ করেছিলেন গাইবান্ধা বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। সঠিক নিয়ম মেনে যত্ন নেওয়ায় ও আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আর বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। শীতকালীন আগাম সবজির দামে খুশি গোবিন্দগঞ্জের কৃষকরা।
উপজেলার কামারদহ, সাপমারা, শাখাহার, রাজাহার, কামদিয়া, গুমানিগঞ্জ, পৌরসভাসহ বেশকিছু ইউনিয়নের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, লাউ, পটল, বরবটি, পালন শাক, লাল শাক,গাজর, শষাসহ বিভিন্ন জাতের আগাম শীতকালীন সবজি মাঠে চাষ হচ্ছে।সবাই যেন আগাম শাক-সবজি বাজারে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।চাষিরা রোদে পুড়ে সবজির ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অঞ্চলের মাঠে সারা বছরই সবজি চাষ হয়ে থাকে। এ কারণে এই এলাকাকে সবজি নগরী বলা হয়ে থাকে।
উপজেলার দরবস্থ ইউনিয়নের চাপরিগঞ্জ এলাকার কৃষক মইনুল ইসলাম মাহিন বলেন
এবারও অধিক মুনাফার আশায় ৪০ শতাংশ জমিতে আগাম পিয়াজ লাগিয়েছি। এক বিঘা জমিতে লাউ , দুই বিঘা জমিতে মুলা এছাড়াও রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম ও বটবটি । তিনি বলেন, এই শীতের আগাম সবজিকে বাণিজ্যিকভাবে নিয়েছি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ এইসব ফসল রোপন করে থাকি যেহেতু আগাম সবজি বিক্রিতে ভালো লাভ পাওয়া যায় তাই আমাদের এই এলাকায় আগাম সবজিত চাষে প্রতিযোগিতা চলে। আমি প্রতিদিন প্রতিটা সবজি খেতে পরিচর্চাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছি।
একই ইউনিয়নের কৃষক রুপালি বেগম বলেন, লাভের আশায় এক একর জমিতে আগাম লাউ, সিম, ফুলকপির চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ভালো দাম পাওয়ায় ফুলকপি, লাউ ও সিম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। তিনি বলেন আমি বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করি অবসর সময় এই সবজি দেখভাল করি।
একই ইউনিয়নের ভাগ গোপাল গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, বারো শতাংশ জমিতে আগাম মুলার চাষ করেছি। বিশ শতাংশ জমিতে পিয়াজ চাষ করছি ফলনও ভালো হয়েছে। বাজার দর ভালো পেলে লাভের আশা করছি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন এ বছর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৮শ ৯২হেক্টর জমিতে কৃষকরা আগাম সবজি চারা লাগিয়েছেন সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, বেগুন, লাউ, পটল, বরবটি, টমেটোসহ
শীতকালীন সবজি চাষাবাদ হয়েছে এছাড়াও রয়েছে মরিচ, পিয়াজ ইতিমধ্যে উপজেলা সরবরাহ সহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলার কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব সময় প্রশিক্ষণ পরামর্শ সহ চাষীদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।