গাইবান্ধা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাবিব রিপন
কলা চাষের উপযোগী উঁচু জমি থাকায় গাইবান্ধার
গোবিন্দগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ার নিশ্চয়তার কারণেই মূলত কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন।
গোবিন্দগঞ্জ ৩৬২ হেক্টর জমিতে কলা চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের চাপরিগঞ্জ, ভাগ গোপাল গ্ৰামের সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ শুধুই কলার খেত। গাছে ঝুলছে কাদি। আর কৃষকরা ব্যস্ত পরিচর্যায়। আপনমনে তারা সকাল-সন্ধ্যা এসব গাছের দেখভাল করছেন। সবার ঠোঁটেই তৃপ্তির হাসি
কথা হয় তেমনই একজনের সঙ্গে। কলা চাষি আব্দুল ওয়াহেদ তিনি বলেন, দেশব্যাপী গাইবান্ধায় কলার চাহিদা থাকায় সারা বছর মেহেরসাগর, মালভোগ, সবরি, অগ্নি সাগর, কাঁচা, চিনিচম্পা ও কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়। এছাড়া ধানের চেয়ে কলা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন কলা চাষে বেশি ঝুঁকছেন।
তিনি আরও বলেন, বাগান থেকে এসব কলা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কাদি কলা ৩০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। আমার মতো অনেকেই কলার ভালো দাম পেয়ে খুশি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এক সময় এসব জায়গায়ই ধানের চাষ হতো। তবে বর্তমানে ধানের ফলন কমে যাওয়া, কলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ ফসলের আবাদ। এ ছাড়া এখানকার মাটি ও আবহাওয়াও কলা চাষের উপযুক্ত। সবমিলিয়ে বিস্তৃত হচ্ছে কলার চাষ। আর এ চাষকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে এ এলাকার অর্থনীতির চাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এ বছর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৩৬২ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে।মালভোগ, সবরি, অগ্নি সাগর, কাঁচা, চিনিচম্পা ও কাঠালিসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়। উৎপাদিত কলার মান বজায় রাখতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে আমরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কলা চাষ বৃদ্ধির জন্য উঠান বৈঠক করছি।