জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অর্থমন্ত্রী লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জোট সঙ্গী এফডিপি সব মন্ত্রীকে তুলে নিয়েছে। এতে করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে আস্থাভোট হবে। আর মার্চে হতে পারে নির্বাচন।
এদিকে এফডিপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর গ্রিন পার্টিকে নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাবেন ওলাফ শলৎস। বাজেট পাস করার জন্য তিনি সিডিইউ-এর সমর্থন চেয়েছেন। রক্ষণশীল নেতা মেরজ এই বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
আগামী ১৫ জানুয়ারি তিনি আস্থাভোট নেবেন। তারপর মার্চে নির্বাচন হতে পারে।
সাংবাদিক সম্মেলন করতে আসার সময় শলৎসকে শান্ত দেখাচ্ছিল। শলৎসকে প্রায়ই এই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যে, তিনি টেকনোক্র্যাটদের মতো ক্লান্তিকরভাবে কথা বলেন। এদিন তিনি যখন তার অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করছেন, তখন তাকে খুবই আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লাগছিল।
এই ঘোষণা করতে গিয়ে গলাটা একটু কেঁপে ওঠে। তবে তিনি শান্তভাবেই বোমাটা ফাটান। তিনি এফডিপি নেতা লিন্ডনারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তিনি খুবই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক নীতি নিয়ে চলছিলেন। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।
শলৎস বলেন, “অর্থমন্ত্রী আমাদের কোনও প্রস্তাব রূপায়ণ করতে রাজি ছিলেন না। আমি দেশকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।”
শলৎস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের বাজেটে এক হাজার কোটি ইউরোর ঘাটতির মোকাবিলা করার জন্য একটা পরিকল্পনা অর্থমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন। এই পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরেই জোটে ভাঙন ধরল।