মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে ভাষণ দিয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ইলেক্টোরাল কলেজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চলেছেন তিনি। কেবল ইলেক্টোরাল কলেজ নয়, পপুলার ভোটেও জয় পেয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ নামের একটি বিশেষ নির্বাচক মন্ডলীর ভোটের মাধ্যমে। আবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট নির্ভর করে সাধারণ ভোটারদের ভোটের ফলাফলের ওপর। এই ভোটকেই বলা হয় পপুলার ভোট।
ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা মোট ৫৩৮টি। কোনো প্রার্থী যদি বিজয়ী হতে চান, তাহলে তাকে অন্তত ২৭০টি ভোট পেতে জয়ী হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবগুলোর ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি, তবে বিবিসি, সিএনএন এবং অন্যান্য প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইলেক্টোরাল কলেজের ২৬৬টি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে কমালা পেয়েছেন ২১৯টি ভোট।
সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, ইলেক্টোরাল ভোটের পাশাপাশি পপুলার ভোটেও কমালার চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ১০৬টি ভোট, আর কমালা পেয়েছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮টি ভোট। অর্থাৎ কমালার চেয়ে ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৭২৮ ভোট বেশি পেয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন ঘটল। ২০১৬ সালের যে নির্বাচনে নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন তিনি, সেবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে এগিয়ে থাকলেও পপুলার ভোটে বেশ পিছিয়ে ছিলেন। হিলারির সঙ্গে তার প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল ৩০ লাখেরও বেশি।