ভারতকে সাইবার নিরাপত্তায় ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডিয়ান সরকার। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লিকে এখন শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা শুরু করেছে কানাডা। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।
শনিবার (২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে ট্রুডো সরকার।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্প্রতি কানাডা তাদের ‘সাইবার হুমকি নিরূপণ প্রতিবেদন ২০২৫-২৬’ প্রকাশ করে। এতে ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে ট্রুডো সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য অটোয়া নতুন আরেক কৌশল হাতে নিয়েছে কানাডা।
ভারতের পাঞ্জাবে শিখ ধর্মাবলম্বীদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বেশ পুরোনো। ১৯৮০ এবং ৯০ এর দশকে এ আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। তৎকালীন ভারত সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগে কয়েক হাজার শিখ খালিস্তানপন্থিকে হত্যা করে বলেও দাবি অনেকের।
প্রশাসনের কঠোর দমন নীতির কারণে এ আন্দোলন আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। তবে, বিজেপে সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে আবারও নতুন করে গতি পায় খালিস্তানপন্থি আন্দোলন ইস্যু।
এদিকে ভারতের কয়েকজন কনস্যুলার কর্মকর্তাকে কানাডা সরকার অবহিত করেছেন যে তারা অডিও এবং ভিডিও নজরদারির অধীনে রয়েছেন। এই পদক্ষেপকে ভারত কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
শনিবার একটি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন কনস্যুলার কর্মকর্তাকে সম্প্রতি কানাডা সরকার জানিয়েছিল যে তারা অডিও এবং ভিডিও নজরদারির অধীনে রয়েছেন এবং তা অব্যাহত রয়েছে। তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কানাডিয়ান সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ আমরা এই কাজগুলোকে প্রাসঙ্গিক কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করি।’
জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘ভারতের কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার কর্মীরা এরমধ্যেই চরম অসহনশীল এবং সহিংসতার পরিবেশে কাজ করছেন। প্রযুক্তির উল্লেখ করে কানাডা সরকার যে হয়রানি ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তা কোনভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না। কানাডিয়ান সরকারের এই আচরণ কূটনৈতিক নিয়ম ও অনুশীলনের সঙ্গে বেমানান।’