বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও কূটনীতিক সাবিহ উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি। অযথাই নানা ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাবিহসহ আমরা যারা ছাত্ররাজনীতি শুরু করেছিলাম আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল-এই সমাজটাকে পরিবর্তন করব, বদলে দেব। সেটা সেই সময় সম্ভব হয়নি, সাবিহ চলে গেছেন সরকারি চাকরিতে। সরকারি চাকরিতে গেলেও কখনো তিনি তার লক্ষ্য থেকে সরে যাননি। সাবিহ যেখানেই ছিল সেখানেই দেশের জন্য কাজ করেছে, জনগণের জন্য কাজ করেছে। সবচেয়ে বেশি আমার মনে পড়ে যে, যখন আমাদের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন। তখন দেখেছি যে, তিনি সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেছেন।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারের রোষানল ও নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওই সময়ে তার ওপরে প্রচণ্ড আক্রমণও হয়েছিল। রিয়াজ রহমানের গুলি লেগেছিল, সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িটা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আরেকজনের ওপরও আক্রমণ হয়েছিল। এই সময়গুলো আমরা পার করেছি। বহুবারই বিভিন্ন গ্রেপ্তার হওয়ার মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে, ভিকটিম হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। তার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা যারা একসঙ্গে ছিলাম তাদের কাছে এটা বেদনার। সাবিহর ছবিটা এখানে দেখে আঁতকে উঠলাম।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের মতোই ছিলাম। অফুরন্ত প্রাণশক্তি ছিল তার। মনে হয়েছে টগবগ করছে সবসময় জীবনী শক্তি নিয়ে। কোনো কিছুতে ভেঙে পড়ার লোক ছিল না, লড়াই করেছে শেষ পর্যন্ত। আজকে সে থাকলে সবচেয়ে খুশি হতো ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখে।’
স্মরণসভায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাবিহ উদ্দিন ছিলেন রিয়াল ন্যাশনালিস্ট। দেশ ও জনগণের প্রশ্নে তার কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আমরা হারিয়েছি সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম সবুজকে। আমরা তার পরিবারের জন্য দোয়া করি।’