এইচ এম মিলন,কালকিনি(মাদারীপুর):
মাদারীপুরের কালকিনি পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ‘দক্ষিন কৃষ্ণনগর খাল ’ দখলে-দূষণে এখন মৃত প্রায়। ভরাট হয়ে সরু হয়ে গেছে খালটি। ফলে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে নৌ-যান চলাচল। শুধু দখলই না, খালে ময়লা ফেলায় দূষিত হয়ে পড়েছে পানি।তবে স্থানীয়রা বলছে, সারাদেশে নদী, খাল ও জলাশয় দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান চললেও দক্ষিন কৃষ্ণনগর খালের বিষটির চোখে পড়ছে না। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দ্রুতই অভিযানে নামবে বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁচা বাজারের উচ্ছিষ্ট,
খসাইখানার বর্জ্য, খড়কুটার স্তূপ, পলিথিন,আখের ছোবরাসহ নানা ধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে দক্ষিন কৃষ্ণনগর খালে। এ খালের দুই পাড় ঘেঁষে ফেলা হচ্ছে শহরে ময়লা। স্থানীয় পরিচ্ছন্নকর্মীরা ময়লা-আবর্জনা কুড়িয়ে তা ফেলছে খালে। জানাযায়, ২০০ বছরের প্রাচীন এ খালটি দিয়ে এক সময় ছোটো-বড়ো নৌ-যান চলাচল করত। আশির দশকেও এই খাল দিয়ে নিয়মিত চলত কৃষি পন্য নিয়ে বড় ট্রলার। খাল পাড়ের মানুষরা গোসলসহ খাওয়ার কাজে ব্যবহার করত এ খালের পানি। কিন্তু দখলের কারণে সরু হয়ে যাওয়ায় এখন মালবাহী ছোটো ছোটো নৌ-যানতো দুরের কথা একটা ডিঙ্গি নৌকাও ঢুকতে পারে না। বন্ধ হয়ে গেছে এই খাল দিয়ে সমস্ত নৌ যাতায়াত। এই অবস্থায় খালটিকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে কালকিনি পৌরবাসী।
কালকিনি শহরের ব্যবসায়ী জহিরুল বলেন, অবৈধ দখল আর ময়লা-আবর্জনায় খালটি পুরোপুরিরুপে ভরাট হয়ে গেছে। ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধের কারনে খালের পাশ দিয়ে মানুষের চলাচলে সম্পুর্নরুপে বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এই খাল পাড়ের বসবাসকারীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এডিস মশার বাসস্থান হয়ে গেছে এই খালটি। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মেজবাউল হক জানান, দখলে দুষনে খালটি মড়ে গেছে। খালটি রক্ষা করার জন্য বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। তাতে কোন কাজ হয়নি।
এব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও উত্তম কুমার দাশ বলেন, খালটি পুনরুদ্ধার করা হবে শিগ্রই। তবে এর সাথে ধারাবাহিক ভাবে সকল দখল হওয়া খালগুলো খনন ও পুনরুদ্ধার করা হবে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল কাদের খান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শিগিগরই অভিযানে নামব।