মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আধুনিকতার ছোঁয়ায় মোবাইল ফোনের চাপায় হারিয়েছে ডাক বাক্সে জমানো প্রিয়জনের লেখা চিঠি।
তোমাকে না লেখা চিঠিটা ডাকবাক্সের এক কোণে, সাদা খামের না লেখা নাম এঁকেছে তার গানে, সেই চিঠি যত লেখা থাকে একা একা...’ বা চিঠি দিও প্রতিদিন চিঠি দিও...
এমন গানের কথার মতো করেই হৃদয়ের সমস্ত আবেগ দিয়ে প্রিয়জনের কাছে লেখা হতো চিঠি। আর সেই চিঠি ফেলা হতো লাল রঙের ডাকবাক্সে। সেখান থেকে ডাক হরকরার হাত ধরে পৌঁছে যেত প্রিয়জনের কাছে। প্রিয়তমার চিঠি, প্রেমিকের চিঠি, মায়ের চিঠি, বাবার কাছে সন্তানের চিঠি। এমনকি দাফতরিক সব দরকারি চিঠি।কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় মোবাইল ফোনের চাপায় হারিয়েছে ডাক বাক্সে জমানো প্রিয়জনের লেখা চিঠি। অযত্ন-অবহেলায় লাল রঙের ডাক বাক্সগুলোও হারিয়েছে তার জৌলুশ। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে পোস্ট অফিসের সামনে। গাইবান্ধায় সাতটি উপজেলায় ১১৭ টি পোস্ট অফিস আছে কিন্তু লালরঙের ডাক বাক্সের খোঁজ রাখেনা কেউ।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ট্রেন ধরার জন্য ডাক নিয়ে স্টেশনে আসতো আবার চিঠি নিয়ে গিয়ে সাইকেলে করে বেল বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিঠি বিলি করতো।সামান্য মাইনে অন্যের সুখ-দুঃখের ইতি কাথা তার কাধে থাকতো।তবে ভালোবাসার কমতি ছিল না। কথা এক ডাক হরকরার মহব্বরের সাথে, "বাবা আগের মতো আর মনে সুখ নাই।চিঠি ও আসে না, মানুষের সাথে যোগাযোগও কমে গেছে।সাত সদস্যের পরিবার সামন্য বেতনে কোন রকম সংসার চলে। আগে চিঠি দিলে ভালোবেসে দু -চার টাকা দিত কিন্তু সে পথটি বন্ধ। মানুষ আর চিঠি দেয় না।"
কাঁধে খাকি রঙের বস্তা নিয়ে গ্রামের পথে ডাক হরকরার ছুটে চলার দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। ডাকঘরে খাম, পোস্টকার্ড, ডাকটিকিট থাকলেও তা বিক্রি কমেছে অনেক।