মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির গণিপুর গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে আইনজীবি সফিউল ইসলামের বাড়ীতে প্রতিপক্ষদের অগ্নিসংযোগ আইনজীবি সহ অগ্নিদগ্ধ-২, বাড়ী ভস্মীভূত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি। অভিযুক্তদের আসামী করে থানায় মামলা করেছেন আইনজীবি সফিউল ইসলাম।
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির গণিপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার আলীর পুত্র এ্যাড. মোঃ সফিউল ইসলামের গত ২৪/১০/২০২৪ইং তারিখে ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, গত ১৮/১০/২০২৪ইং তারিখ রোজ শুক্রবার বিকেল ৩ ঘটিকার সময় গণিপুর গ্রামের বাড়ীতে চার্জার ভ্যানযোগে এ্যাড. মোঃ সফিউল ইসলাম বাড়ীতে যাচ্ছিলেন। ঐ সময় একই গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম (৫৭), মোঃ জহুরুল ইসলাম (৫৬), নজরুল ইসলাম (৫৪), সিরাজুল ইসলাম (৪৮) সর্ব পিতা: মৃত একিন উদ্দিন মন্ডল গং সহ প্রায় আরও ২০ জন দলবদ্ধ হয়ে এ্যাড. মোঃ সফিউল ইসলাম কে হত্যার জন্য গণিপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া ও মাঝাপাড়া এর মধ্যবর্তী স্থানে ব্রীজের উত্তর পাশ্বে সকলে লাঠিশোটা ও রড নিয়ে তার পথ রোধ করে। এ সময় এ্যাড. মোঃ সফিউল ইসলাম এর সাথে তাদের তর্কাতর্কি হয়। সে বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে ছুটে আসে। এ সময় প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা বলে আইনজীবী হিসাবে আমাদের বিপক্ষে মামলা পরিচালনা করলে সহপরিবারে হত্যা করব এবং বাড়ী ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালীয়ে দিব। গত ২৮/১০/২০২৪ইং তারিখে গণিপুর তার পিতার বসবাড়ী দক্ষিণ দুয়ারী ঘরে তিনি এবং তার চাচাতো ভাই রাকিবুল ইসলাম প্রতিপক্ষদের হুমকির কারণে অবস্থান করছিলেন।
উল্লেখ্য যে, তার স্ত্রী , মা ও তার পুত্র দৌলতপুর তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করেন। গত শুক্রবার রাত্রী ০২ ঘটিকার সময় উল্লেখ্য ব্যক্তিরা হত্যার উদ্দেশ্যে বসবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে বসঘর, মালামাল রাখার ঘর, ধান রাখার ঘর, নগদ টাকা এবং জমিজমার কাগজপত্র সহ সমস্তকিছু পুড়ে যায়। ঐ সময় সফিউর ইসলাম আত্মচিৎকার করলে পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনা স্থলে আসে এবং দ্রুত আগুন নিভানোর চেষ্টা করে কিন্তু রাকিবুল ইসলাম ঘর থেকে তার বাবাকে বের করেন এবং বের করার সময় আগুনের প্রদাহের ফলে তার মুখ ও গলা পুড়ে খতের সৃষ্টি হয়। এ্যাড. সফিউল ইসলাম তাড়াহুড়া করে বের হওয়ার সময় ঘরের মধ্যে পড়ে যান। এতে তিনিও আহত ও পুড়ে যান। এই ঘটনায় ঐ দিনে এম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এ্যাড. সফিউল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই এর অবস্থা আসঙ্কাজনক হওয়ায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সেখান হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। পরবর্তীতে চিকিৎসা সুবিধার্থে টিএমএসএস মেডিকেল ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতাল বগুড়ায় চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। বর্তমানে এ্যাড. সফিউল ইসলাম ও চাচাতো ভাই রাকিবুল ইসলাম এর অবস্থা আসঙ্কাজন। এই ঘটনায় এ্যাড. সফিউল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় গত ২৪ অক্টোম্বর ২০২৪ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ০৯। ধারা: ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৮৩৬/৪২৭/৫০৬/
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মহিববুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, মামলা হয়েছে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।