মাহমুদুল হাবিব রিপ গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় গত তিন’চারদিন ধরে গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা ঝড়ছে। সেই সাথে রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। আবার দিনে গরমে ফ্যান ব্যবহার করতে হচ্ছে। প্রকৃতিতে বিরূপ আবওয়া বিরাজ করায় অনেকে স্বর্দি-কাশি, ঠান্ডা জনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রকাশ, কুয়াশার কারনে হেমন্তকালের প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের। ধানের শীষগুলোতে পড়ছে শিশির কণা। কমতে শুরু করেছে জেলার তাপমাত্রা। গ্রামের মেঠোপথের পাশে কচু পাতায় হাতের স্পর্শে ভিজছে হাত; যেন শীতের এক অন্যরকম অনুভূতি। উত্তরের জেলা গাইবান্ধার মানুষরা শীত মোকাবিলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৬ ডিগ্রির ঘরে। সকালে সূর্যের দেখা মিলেছে অনেক পরে। আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন থাকছে। সকালবেলা কুয়াশার মাঝে কেউ কেউ হাঁটতে বের হচ্ছেন, কেউবা ছুটছেন গন্তব্যে। এমনই চিত্র বিরাজ করছে গাইবান্ধার প্রকৃতির মাঝে। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল ৬টায় ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত তিন’চার দিন থেকে তাপমাত্রা কমে গিয়ে কুয়াশার দেখা মিলেছে। মনে হচ্ছে, শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়েছে। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের। আগামীর দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। দিন যত এগুবে তাপমাত্রা কমে, নামবে শীত।