এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি || বাগেরহাটের রামপালে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় রামপাল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলটি করেন, ভিকটিম রাজু ও রনির পিতা ইন্তাজ সরদার।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার বেলাই, সিদামখালী এলাকায় মাদক বেচাকেনা করে আসছিল রামপালের মিজানুর রহমানের ছেলে নোমান আহমেদ জনি, সিদামখালী গ্রামের সফরুল শেখের ছেলে রোমান আহমেদ তালহা, সদরের মৃত আ. সালামের ছেলে আবেনুর ও বেলাই গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে মুজিবর রহমান। তাদের নিষেধ করেন, ভিকটিম রাজু সরদার, রনি শেখ ও মাসুম মল্লিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ইংরেজি ৪ ০৪-১০-২০২৪ তারিখে রাত ৯ টায় উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের রাস্তার মুখে আসামীরা ভিকটিমদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তাদের হাতে থাকা রাম দা ও চাপাতি দিয়ে উপুর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ওই সময় আসামীরা ১টি লাল এ্যাপাসি মোটরসাইকেল ও ৩টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারের স্থানীরা ছুটে এসে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে হুড়কা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাওলাদার মুজিবর রহমান বাবুল জানান, মাদক সংক্রান্ত বিরোধে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের মধ্যে বিরোধের জেরে নিজেদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে সাংবাদিকেরা অনুসন্ধানি রিপোর্ট করেন। তারপরেও আমাকে এক নেতার নির্দেশে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী করেন।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের সাথে জনপ্রিয় উপজেলা বিএনপি নেতা হাওলাদার মুজিবর রহমানকে জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা করার ঘটনায় বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও রামপাল উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে হায়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতির দাবী করেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্তে যদি কোন কারো সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।