দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কর্মী সৈয়দ সিরাজুল হক রিপন দলিয় সিন্ধান্ত মতে স্থানীয় কালিবাড়ী মন্দিরের সেচ্ছাসেবক হওয়ার অপরাধে তার গ্রাম বারোকোনা (মোল্লাপাড়া) মসজিদ কমিটির স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্তৃক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে স্থানীয় মসজিদের মালিক হিসাবে দাবিদার সৈয়দ আবুল মাহমুদ মনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গ মিলে সৈয়দ সিরাজুল হক রিপনকে মন্দিরের সেচ্ছাসেবির দ্বায়িত্ব পালন করেছে অভিযোগ এনে এলাকার মুসল্লিদের সামনে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী জামাতের কর্মী সৈয়দ সিরাজুল হক রিপন বলেন, মসজিদের স্বঘোষিত মালিক সৈয়দ আবুল মাহমুদ একজন ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের নেতা। সে আওয়ামীলীগের প্রভাব দেখিয়ে বারোকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি দ্বায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজের অসংগতি দেখা দিলে আমি সেখানে বিরোধিতা করি। সে কারনে আগে থেকেই সে আমার উপরে বিভিন্নভাবে দমন পিড়ন চালিয়ে আসছে। গত ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আমি আমার দলিয় সিন্ধান্ত মোতাবেক কালিবাড়ী মন্দিরে সেচ্ছাসেবী হিসাবে দ্বায়িতে ছিলাম। আজ শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে। তারা আমাকে মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করে। আমি মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করার অপরাধে নামাজ শেষে তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এবং আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে জামাতের দিনাজপুর দক্ষিণ অঞ্চলের সুরা সদস্য ও সাবেক ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদির বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো । যদি দলিয় কাজে থাকার অপরাধে আমাদের কর্মীকে লাঞ্চিত করা হয়। তাহলে আমরা অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।