রাষ্ট্র সংস্কার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং হালনাগাদ ভোটার তালিকা শেষে কমপক্ষে ১৮ মাস পর দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমনই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে এসে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছে। নির্বাচন হতে পারে তা বাস্তবায়নের ১৮ মাস পর।
এদিকে একইদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। আর ড. ইউনূস বলেন, বিগত সরকারের সময় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান তিনি।
পরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। বৈঠকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংস্থাটির অভিজ্ঞতা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম এ খান। এ সময় ড. ইউনূস জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।
এদিন জাতিসংঘের সাইডলাইনে ১৬টি ইভেন্টে অংশ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে দেখা করেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফ, মার্কিন সেনেটর ডিক ডারবিন, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার, আইএলও’র ডিরেক্টর জেনারেল ও ইউএনডিপির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিন শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে কীভাবে তিনি উপস্থাপন করবেন, সেদিকেই এখন নজর সবার।