গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। সাদা বলের ক্রিকেটে যেমন রান পাচ্ছেন না, তেমনি লাল বলের ক্রিকেটেও তার ব্যাটে রানখরা। এমন পরিস্থিতিতে তার একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এবার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে মাঠে নামার আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি।’
সাদা পোশাকেও ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাকিব। সুযোগ পেলে দেশের মাটিতেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকেই নিজের বিদায়ের মঞ্চ হিসেবে পছন্দ সাকিবের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’
টেস্ট ও টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও ওয়ানডেতে খেলা চালিয়ে যাবেন সাকিব। গুঞ্জন আছে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে তিন ফরম্যাট থেকেই অবসরে যাবেন সাকিব। তার আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র ওয়ানডেতে দেখা যাবে এই অলরাউন্ডারকে। তবে নিয়মিত তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবেন সাকিব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কিংবা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও দেখা যাবে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাকে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সাকিব আল হাসানের শেষ ম্যাচ। যেখানে ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক খেয়েছিলেন তিনি। আর বল হাতে ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ব্যাট হাতে ২৬ রান আর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন সাকিব। দেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ছিলেন তিনি। এরপর প্রতিনিধিত্ব করেছেন টানা নয় বিশ্বকাপে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের জার্সিতে ১২৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ১২৭ ইনিংসে ব্যাট করে প্রায় ২৩ গড়ে করেছেন ২৫৫১ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১২১ গড়ে। তার নামের পাশে আছে ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি। তাছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ১৪৯ উইকেট।