চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফলো অন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে অন্তত ১৭৭ রান করতে হতো। কিন্তু ৪৭ ওভার ১ বলে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৯ রানে। তবে বাংলাদেশকে ফলো অন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
৪৭ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পেয়েছে ভারত।
নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ওভারের শেষ বলটি গুড লেংথে অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন বুমরাহ। আউট সুইংয়ের আশায় ব্যাট উঁচিয়ে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হল। ইনসুইং করে অফ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। ২ রান করে বিদায় নেন সাদমান।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ সতর্ক ছিলেন জাকির হাসান-শান। তবে লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক আগের ওভারেই জাকিরকে বোল্ড করেন আকাশ দীপ। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ইনসুইং করে জাকিরের মিডল স্টাম্প উপড়ে দেয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৩ রান।
পরের বলটিও একই জায়গায় করেন আকাশ, ফলাফলই এসেছে একই। ঠিক যেন আগের বলে কার্বন কপি। এবার শুধু ব্যাটার বদল, জাকিরের জায়গায় মুমিনুল হক। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার দিনে গুরু দায়িত্ব ছিল মুমিনুলের কাঁধে। তবে ব্যর্থ হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও। গোল্ডেন ডাক খেয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন তিনি।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের আউট সুইং বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০ বলে ২০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। শান্ত ফেরার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৮ রান করে। বুমরার সুইং ও বাউন্স হওয়া বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল।
স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাস। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ২২ রান করে লিটন ফেরায় ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১তম ওভারে জাদেজার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩২ রান করেছেন তিনি।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানারা দ্রুত ফিরলে দেড়শর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ২৭ রান করে।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯১ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৩ রান করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাছাড়া ৮৬ রান এসেছে রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৮৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান। তাছাড়া ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।