জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দলের পক্ষ থেকে কোনো টাইমফ্রেম দেয়া হবে না। সরকার যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের বলেন,, ‘অতীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। সংবিধান ও শাসন পদ্ধতিতে ত্রুটি রয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ও শাসনতন্ত্র সুষ্ঠু করতে হবে। সরকারকে দলের পক্ষ থেকে কোনো টাইমফ্রেম দেয়া হবে না। সরকার যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
তিনি আরও বলেন ‘কিছু বিষয়ে জাতীয় পার্টিকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা স্বৈরাচারের দোসর ছিলাম না, সমালোচনা করেছি। আমরা জনগণের পক্ষে ছিলাম। রংপুরে জাতীয় পার্টির ছেলেরা হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলীয়করণের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগণের মন জয় না করে, প্রতিষ্ঠানের মন জয়ের চেষ্টা করে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সব দলের সিদ্ধান্তে গঠন করতে হবে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হতে হবে। পুলিশ প্রশাসন দলীয়করণ করা যবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিলে বোঝা যবে কতটুকু স্বচ্ছতা ফিরেছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয়প্রধান একজন হতে পারবেন না। দল, সরকার এবং রাষ্ট্র এক হতে পারবে না। দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হওয়া দরকার উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল থাকবেন না। রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপমুক্ত করতে হবে।’
সংবিধানের ১১৬ বাতিলের কথা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করতে হবে। নইলে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। মামলা করলে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’