জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শানশানের প্রভাবে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন নিহত এবং একজন নিখোঁজ হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
দেশটির জাতীয় সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম এনএইচকের তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত শানশান গত বৃহস্পতিবার কিউশু দ্বীপের কাগোশিমার উপকূলে আছড়ে পড়ে। ঝড়ের প্রভাবে কাগোশিমা ও তার আশপাশাশের এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে এখনও ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট। এছাড়া কিউশু দ্বীপজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার যখন কাগোশিমার উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান, সে সময় সেখানে বাতাসের গতিবেগ চিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। শানশানের প্রভাবে কিউশুরু পাশাপাশি রাজধানী টোকিও এবং উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইডোতে ভারী বর্ষণ হয়েছে। কিউশুর বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান কিউশু ইলেকট্রিকের তথ্য অনুসারে, ঝড়ের পর থেকে কাগোশিমার ৩৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
জাপানজুড়ে এই ঝড়ের প্রভাব প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। গত ২৮ আগস্ট টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো জানিয়েছিলেন, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই শানশান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড়ের প্রভাবে উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না শানশান; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।