প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ এর শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিনই অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রফি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে যুবা ফুটবলাররা।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গণমাধ্যমের সামনে আসেন সাড়ে পাঁচটার দিকে। দলটির কোচ মারুফুল হক, নিয়মিত অধিনায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবন, টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক আসিফ ও সেরা খেলোয়াড় মিরাজুল ইসলাম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক এই ফুটবলারদের দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে এশিয়ান পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
২১-২৯ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই রয়েছে। স্বাগতিক ভিয়েতনাম ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিরিয়া, ভূটান ও গুয়াম। বাছাইয়ে দশ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্স আপ খেলবে বয়স ভিত্তিক আসরের মূল পর্বে। মারুফের দৃষ্টি চূড়ান্ত পর্বেই, ‘আসলে দলটির যখন দায়িত্ব নেই। দু’টো লক্ষ্য ছিল। একটি পূরণ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এখন কাজ করব এশিয়ান পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করব। এই ছেলেদের মেধা ও যোগ্যতা রয়েছে। আশা করি সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে।’
মারুফ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোচ। অনূর্ধ্ব-২০ দলের হেড কোচ হয়ে কাজ করাটা একটু অবাক হয়েছেন অনেকে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পরও সেই প্রশ্ন উঠল। এ নিয়ে মারুফের বক্তব্য, ‘আসলে সত্যি আমি পর্যায়ে কোচিং করাইনি। পেশাদার কোচ হিসেবে যে কোনো জায়গায় কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হয়। যখন ফেডারেশন থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় এবং খেলোয়াড় তালিকা দেখি তখন চ্যালেঞ্জ নেই। এদেরকে সরাসরি আগে কোচিং না করালেও তাদের সম্পর্কে ধারণা ছিল।’
বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলাররা সাফল্য আনেন। পরবর্তী পর্যায়ে হারিয়ে যান। নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেন না। আরো বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে ফুটবলারদেরকেই আরো যত্নবান হওয়ার তাগিদ মারুফের, ‘পেশাদার ফুটবলার হিসেবে তাদের নিজেদেরই সচেতন থাকতে হবে। পজিশন ভিত্তিক সবাই সবার যত্ন নিতে হবে। এটা ফেডারেশন, ক্লাব ও কোচ করবে না খেলোয়াড়দের নিজেদেরই করতে হবে।’
কোচের এই বক্তব্য পাশ থেকেই শুনছিলেন চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা। অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়ক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘আমরা এখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সামনেও নিজেদের আরো ভালোভাবে প্রস্তুত করে বড় কিছু করতে চাই।’
বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেই চ্যাম্পিয়নরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে রওনা হয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফুলের স্টিক ও মিষ্টির ব্যবস্থা করছে।