গোলাম মুক্তাদির সবুজ, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শাহ এয়তেবাড়িয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জি এম মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা, স্বৈরাচারী, অবৈধ শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগকারী, বিভিন্ন অসৎ কার্যকলাপে জড়িত ও চরিত্রহীন এর অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাদ্রাসা গেটের সামনে তালোড়-দুপচাঁচিয়া রাস্তায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও মাদ্রাসা রক্ষায় নিবেদিত সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিপালের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও তাঁর পদত্যাগের একদফা দাবীতে শ্লোগান দেয়।
এ সময় তালোড়া-দুপচাঁচিয়া রাস্তায় শিক্ষাথীরা অবস্থান করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রেহেনা ও হাফিজার রহমান জানায়, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল একজন দুর্নীতিবান ব্যক্তি। তিনি শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকেন। অভিভাবক ইসমাইল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রিন্সিপাল জি এম মোস্তাফিজুর রহমান এর দুর্নীতির শেষ নেই। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য ও মাদ্রাসার সম্পত্তির অর্থ লুটপাট করেছেন তিনি।
মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোশাররফ হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীর সঙ্গে আমরা শিক্ষকরা একমত । আমরা সব সময় ন্যায় সঙ্গত দাবীর পক্ষে। তবে প্রিন্সিপালের পদত্যাগের চুড়ান্ত বিষয়টি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জি এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন।
তালোড়া পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র সৈয়দ আবু হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন যৌক্তিক। এই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি জান্নাত আরা তিথি এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি কেউ জানাননি।