শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। সেই মামলা মাথায় নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। তার ঘূর্ণি জাদুতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। শুধু তাই নয়, রবিবার ৩ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন ড্যানিয়েল ভেট্টরিকেও। টেস্ট ক্রিকেটে বাঁ হাতি স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন সাকিবের।
তবে সাকিবের মামলার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি বিসিবি পরিচালক ও সাকিবের শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তার উত্তর, ‘নেক্টট’। যেন বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইলেন তিনি।
সোমবার (২৬ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমার তো দুটি রোল (ভূমিকা) আছে ওর সঙ্গে। আমি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। ওর মেন্টর হিসেবে, কোচ হিসেবে কথা বলেছি। ওর পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেছি। সেটার সঙ্গে বোর্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। সে কীভাবে, কী করলে ভালো করতে পারবে, এসব নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাকিবের বোলিং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে সে যখন বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে, সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। কিন্তু কালকে সেটা দেখিনি। একজন আদর্শ টেস্ট বোলার যেভাবে বোলিং করে, সে সেভাবেই বোলিং করেছে। বোলিং করার সময় সে নিজের ওপর আস্থা নিয়েই বোলিং করে। ডানহাতি-বাঁহাতি সব ধরনের অবস্থায় যখনই বল তাকে দেওয়া হচ্ছে, উইকেট নেওয়ার জন্য সে বোলিং করেছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে সাকিবের ভূমিকা নিয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘তার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনো চিন্তা থাকে না, ও শুধু ব্যাটারকে নিয়েই চিন্তা করে। বল কোথায় করবে, কীভাবে করবে। অন্য কোনো সময় আসতে পারে চিন্তা, তবে বল করার সময় চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদের ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক নয়।’ সতীর্থদের সঙ্গেও সাকিবের সম্পর্ক নজর কেড়েছে তার, ‘অন্যদের সঙ্গেও আলাপ করছে, মিরাজকেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিচ্ছে। টোটাল ইনভলবমেন্ট ছিল। আমার মনে হয়, সে নিজেও উপভোগ করেছে। বোলিং নিয়ে তার মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল, সেটা চলে গেছে। আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। এটা ওর পরবর্তীতে কাজে লাগবে।’
সাকিব প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যে কোনো অ্যাথলেট হোক, যে কোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে মাঠে নামে, আমার মনে হয় না, তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোনো চিন্তা আদৌ না আসে।’