বাংলাদেশকে রানপাহাড়ে তুলে ব্যক্তিগত এক মাইলফলকের দিকেই ছুটছিলেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৯ রান দূরত্বে থেকে পুড়লেন হতাশায়। ব্যক্তিগত ১৯১ রানে রিজওয়ানের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে লিটনকে হারালেও থেমে যাননি মুশফিক। মেহেদী মিরাজকে নিয়ে গড়েছেন রেকর্ড জুটি। ২০০ বলে সেঞ্চুরির পর পূরণ করেন ১৫০ রানের মাইলফলক। যা তার ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি।
সময় যতই গড়িয়েছে, মুশফিকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা দেখা গেছে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩৪১ বলে ১৯১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ৫২৮ রানে মোহাম্মদ আলীর লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে তুলে দেয়া ক্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় তার।
মুশফিক টেস্টে ২১ বছর ধরে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশি ব্যাটারের সেঞ্চুরি খরা কাটালেন। তার আগে পাকিস্তানের মাঠে টেস্টে সেঞ্চুরি ছিল হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের। ২০০৩ সালে করাচি টেস্টে হাবিবুল ও পেশোয়ার টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন জাভেদ।
এদিকে, মুশফিক ও মিরাজের ব্যাটে সপ্তম উইকেটে এই প্রথম দেড়শ রানের জুটি দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ১৪৫। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্ট করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের একমাত্র উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে টেস্টে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে মুশফিকের। বাংলাদেশের হয়ে ৩ জন ব্যাটার ৫টি টেস্ট দ্বিশতকের দেখা পেয়েছেন। মুশফিকের ৩টা বাদে বাকি ২টা এসেছে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে।
এ জাতীয় আরো খবর..